শুক্রবার, ১৮ Jul ২০২৫, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : নোয়াখালীতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে বিবস্ত্র করে মুখমণ্ডলে লাথি মারাসহ মারধরের ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করার ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন। অভিযোগ রয়েছে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়খালের পাশে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ ৫ তরুণ ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার (৪ অক্টোবর) আবদুর রহিম (২২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশের ৫টি ইউনিট তাদের ধরতে অভিযানে নেমেছে।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, খালপাড় এলাকার একটি বাড়িতে ২০/২৫ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই ভিডিও আজ রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলে তা ভাইরাল হয়।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ওই গৃহবধূ নিজেকে রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু নির্যাতনকারী কয়েকজন বখাটে যুবক ও কিশোর তার পোশাক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। তিনি প্রাণপণে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন এবং হামলাকারী কিশোরদের ‘বাবা’ ডাকেন এবং তাদের পায়ে ধরেন। কিন্তু, তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি। বরং এক যুবক কয়েকবার তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর তার শরীরে একটা লাঠি দিয়ে মাঝে মাঝেই আঘাত করতে থাকে। সে তার নগ্ন ছবি ধারণের চেষ্টা চালায়। একজন হাত উঁচিয়ে তাকে ইন্ধন জোগায়। আরেকজন তার শরীরের অবশিষ্ট পোশাকও টেনে নেয়। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে বলে উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় আরেকজন।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের নজরে এলে এ বিষয়ে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
থানার সূত্র আরও জানায়, পুলিশ আজ নির্যাতনের শিকার সেই নারীকে তার বাবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করে। তিনি পুলিশকে জানান, আজ থেকে ২০/২৫ দিন আগে এ ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ চৌধুরী বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আবদুর রহিমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এসএস